ছোট-বড় সবার পছন্দের খাবারের তালিকায় পুডিং এর নামটি থাকেই। পুডিং এর কথা মনে পরলেই মুখে যেন জল চলে আসে।পডিং তৈরি করা সহজ আবার খেতেও সুস্বাদু।বাসায় মেহমান আসার কথা থাকলে অন্য রকম কোনো মিষ্টান্ন আইটেম বলতে আমরা পুডিং টাই করে থাকি। মজাদার বলে এই খাবারটির প্রতি সবার আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। অনেকেই ভাবেন ঘরে পুডিং তৈরি করা বেশ ঝামেলার, তবে সব উপকরণ পরিমাণ অনুযায়ী দিলে আপনি খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন পারফেক্ট পুডিং।
উপকরণ:
- ঘন দুধ ২ কাপ,
- চিনি ১ কাপ,
- মুরগির ডিম ৪টি,
- এলাচ গুঁড়া
- ক্রিম ২ টেবিল চামচ।
- গুড়োদুধ ৪ চামচ
- কর্ণ ফ্লাওয়ার ১ চামচ
প্রণালি :
১)১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করে নিতে হবে।
২) ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, কর্ণ ফ্লাওয়ার, গুড়োদুধ,এলাচ গুঁড়া ও ক্রিম ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৩)এবার একটা পাত্র চুলায় দিয়ে তাতে সামান্য পানি ও চিনি দিয়ে নিতে হবে। এরপর নাড়তে নাড়তে যখন চিনি গলে ব্রাউন কালার হয়ে যাবে তখন যে বাটিতে পুডিং বানানো হবে সে বাটিতে ক্যারামেল ঢেলে দিন। ক্যারামেল ঢেলে সেট হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে কিছুক্ষণ।
৪)এবার চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে হাড়িতে পানি দিয়ে তার উপরে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে ভাপে সেদ্ধ করতে হবে ৩০-৪০ মিনিটের জন্য । ৩০-৪০ মিনিট পর টুথপিক দিয়ে দেখুন পরীক্ষা করুন পুডিং হয়েছে কি না। যদি টুথপিক এর গায়ে পুডিং লেগে না যায় তাহলে হয়ে গেছে।
৫)অথবা প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ২/৩ টা সিটি দিলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
৬) পুডিং ঠান্ডা হতে দিতে হবে। ছুরি দিয়ে ছাঁচের চারপাশে ঘুরিয়ে কেটে নিতে হবে। প্লেট ছাঁচের মুখে চেপে ধরে উল্টে দিতে হবে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন সুস্বাদু পুডিং।
টিপসঃ
১) আপনারা চাইলে গরুর দুধের পরিবর্তে কনডেন্স মিল্ক ছাগল ভা মহিষ এর দুধও ব্যবহার করতে পারেন।
২) কেউ চাইলে পাউরুটি যোগ করে স্বাদে ভিন্নতা আওন্তে পারেন।
৩)কেউ চাইলে মিশ্রণটি ছেকে ব্যাবহার করতে পারেন।
2 thoughts on “পুডিং তৈরির পারফেক্ট রেসিপি!দেখে নিন।”
Comments are closed.