আম ডাল! এখন বৈশাখের রৌদ্র দুপুরে ভারী খাবার খেতে ভাল লাগে না! আবার শরীরের জন্য উপযোগী নয়।আর এই গরমে চুলার পাড়ে দাড়িয়ে বেশিক্ষন রান্না করতেও মনে চায় না।আবার আমরা বাঙালি বলে কথা খাবারে একটু বাঙালিয়ানার ছুয়া থাকলে মন্দ হয় না তবে, গরমে একটু হালকা-পাতলা টাইপের খাবার হলে তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া যায়।যা শরীরের জন্যও খুব ভাল হবে। এই সব কথা চিন্তা করেই আজ একটা সহজ রেসিপি নিয়ে চলে আসলাম। যা তৈরি করতে লাগবে অল্প সময় আর লাগবে হাতে গুনা কয়েক টি উপকরণ।
আসুন জেনে নেই! কিভাবে তৈরি হবে অল্প সময়ে সুস্বাদু মজুমদার রেসিপি।
উপকরণ:
১.এক কাপ ডাল (যে কোন ডাল)
২.তিন-চার টা কাঁচা মরিচ
৩.দুই টা শুকনা মরিচ
৪.দুই টা তেজ পাতা
৫.পরিমাণ মত লবন
৬.দুই টা পিয়াজ ও দুই রসুন মিডিয়াম সাইজের
৭.পাঁচ ফোঁড়ন এক চা চামুচ
৮.এক চা চামুচ হলুদ
৯.তেল
প্রণালী:
ডাল গুলো আগে থেকে ৩০-৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।এখন ভিজিয়ে রাখা ডাল খুব ভাল করে কয়েক বার পানি পরিবর্তন করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর চুলাতে একটা কড়াই বসিয়ে তাতে দের লিটার পানি দিতে হবে। এখন এই পানিতে ডাল,লবন,কাঁচা মরিচ ও আগে থেকে কেটে রাখা রসুন ও পিয়াজের অর্ধেক দিয়ে দিব। চুলা তাপ মিডিয়াম টু হাই থাকবে।ডালের মিশ্রণ টি ফুটে উঠলে উপর যদি ফেনা ফেনা দেখা যায়! তাহলে একটি বড় চামুচ এর সাহায্যে সেগুলো তুলে ফেলে দিতে হবে।
লক্ষ্য রাখবেন যেন পিয়াজ- রসুন ও মরিচ উঠে না যায়।১০-১৫ মিনিট রান্নার পর যখন ডাল খুব ভাল করে সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন একটা ডাল ঘুটনী দিয়ে ভাল করে ম্যাস বা ঘুটে নিতে হবে।
এরপর পর্যায়ে যদি মনে করেন ডালের পানি ঘন হয়ে গেছে,তাহলে আপনার প্রয়োজন মত পানি দিয়ে খুব ভাল ভাবে ফুটিয়ে নিন এবং কেটে রাখা আম গুলো দিন। লক্ষ্য রাখবেন আম যেন বেশি সিদ্ধ হয়ে গলে না যায়।এখন বাগার এর জন্য অন্য একটি পাত্রে তেল দিয়ে গরম করে এতে শুকনা মরিচ ,তেজ পাতা ও কেটে রাখা বাকি পিয়াজ রসুন দিয়ে ভাজ তে হব ।বাদামি রং হবার আগেই পাঁচ ফোঁড়ন দিয়ে আর কয়েক সেকেন্ড ভেজে ডাল দিতে হবে।আর এক দুই মিনিট জাল দিতে হবে।রেডি হয়ে গেল মজুমদার টক ঝাল সুস্বাদু ডাল।
এবার পরিবেশন করুন গরম ভাত বা রুটির সাথে।ভাত দিয়ে খেলে, সাথে নিতে পারেন আলুর ভর্তা ও ডিম ভাজি।মনে হবে যেন অমরিত খাচ্ছেন।
Enter
2 thoughts on “আম দিয়ে ডাল রান্নার রেসিপি।”
Comments are closed.